মোঃ শহিদুল ইসলাম,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ কায়সার খসরু কর্তৃক সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম ফরহাদের সাথে মোবাইল ফোনে অশোভন আচরণ এবং হুমকির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ৭২ ঘন্টা (রোববারের) মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসন তা করতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংগঠনটির সভাপতি সোহেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান।
সংগঠনটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেন, টেকনাফের ঘটনাটি এখন আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে নেই। এটি এখন গোটা দেশের সাংবাদিকদের ইজ্জ্বতের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে অব্যাহত সাংবাদিক হয়রাণী-নির্যাতন -হুমকি-ধমকী, মামলা-হামলায় সাংবাদিকরা দিশেহারা। চলমান দূর্ণীতির সাথে জড়িতদের রুখতে বরপুত্র, লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের কলম চালাতে হচ্ছে। অন্যদিকে বরপুত্ররা সাংবাদিকদের ধমাতে হয়রাণী-মামলা-হামলা-হুমকি-ধমকী,লাঞ্ছনা করেই যাচ্ছে। এসবের তেমন কোন দৃশ্যমান বিচার না হওয়ায় দূর্ণীতিবাজ,লুটেরাদের পোয়াবারো। চোখ মেলে ঘুমিয়ে যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন তাদের বলবো আগে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা-সুরক্ষার ব্যবস্থা করুন; নয়তো ফুটো হাড়ির মত সব তলিয়ে যাবে।
জানা গেছে, টেকনাফে গৃহহীন পরিবারের মাঝে সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেলে ঢাকা পোস্টের কক্সবাজার প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম ফরহাদ একটি সচিত্র সংবাদ পরিবেশন করেন। ওই সংবাদের জের ধরে টেকনাফের উপজেলা নিবর্বাহী অফিসার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক ফরহাদের মোবাইল ফোনে বাবা তুলে, জারজ সন্তান বলে অসভ্য আচরণ করেন। যা একজন প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড কর্মকর্তা হয়ে রিক্সাওয়ালাকেও হার মানায়। এ ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউএনও’র বিচারের দাবিতে নিন্দা প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
ইতিমধ্যে, ওসি প্রদীপের আমলের কিছু পাচাটা ভন্ড, ধান্ধাবাজ কতিপয় সাংবাদিক বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। শুক্রবার এরা কক্সবাজার ডিসিকে দিয়ে মনগড়া শাস্তির ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে চলছে।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, ঐ কর্মকর্তাকে চাকরী থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হোক। প্রয়োজনে পরবর্তীতে আচরণবিধি শিক্ষা দিয়ে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হোক। নতুবা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে জেলা/উপজেলায় দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।