বিশেষ প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মো. তফিকুল আলমের বিরুদ্ধে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শেখ স্যাইয়াদুল হক নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শেখ স্যাইয়াদুল হক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তফিকুল আলম এবং সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শেখ স্যাইয়াদুল হকের মধ্যে গত ১৯ জুলাই অফিসিয়াল কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তফিকুল আলম উত্তেজিত হয়ে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শেখ স্যাইয়াদুল হককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার বাড়ী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া! গোপালী তা কি হয়েছে? শেখ হাসিনাকে আমার গুনার টাইম আছে? পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার বাজে ব্যবহারের পর সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শেখ স্যাইয়াদুল হক বলেন, আপনার মাথা কি ঠিক আছে। এই কথা বলার সাথে সাথে চেয়ার থেকে উঠে শেখ স্যাইয়াদুল হককে তিনি ঘুসি মারেন।
উক্ত ঘটনার সময় মো. কবির হোসেন, বাবু সিকদার, উজ্জ্বল কান্তি সরকার, সোনিয়া আফরোজ, সাঈদ শেখ, মোসা. রোক্সিনা ও আব্দুল্লাহ
উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শেখ স্যাইয়াদুল হক বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তফিকুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এধরনের কথা না বলার জন্য তাকে অনুরোধ করা হলে তিনি আমাকে ঘুষি মারে। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যেই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
লোহাগড়া পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মো.তফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সহকারী প্রকৌশলীর নানা অনিয়ম ও তার দপ্তরের এক কর্মচারীকে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে সাময়িক বদলী করার জেরে সহকারী প্রকৌশলী শেখ স্যাইয়াদুল হক সেই দিন পরিকল্পিত ভাবে আমাকে মেরে গুরুতর আহত করেন। আমার হাত ভেঙে গেছে। পরে মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলে আমি লোহাগড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়-অন্যায় জানাযাবে।