বিশেষ প্রতিনিধিঃ শেরশাহ জামে মসজিদের পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে উৎসব মুখর পরিবেশে জমকলো প্রাণবন্ত নানান আয়োজনে শেরশাহ নূরানী কিন্টার গার্টেন ও হেফজখানার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অত্র মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পালন করা হয়।আয়োজিত অনুষ্ঠানের জন্য ছাত্র অভিভাবক অন্যান্য সকলেই ইতিবাচক মন্তব্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ ও সাধুবাদ জানায়। সর্বপ্রথম মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।শেরশাহ জামে মসজিদের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মাহমুদুল আমিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্থানীয় অত্র এলাকার জনপ্রিয় বরেণ্য সফল ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব শাহেদ ইকবাল (বাবু),অত্র প্রতিষ্ঠানে অধক্ষ্য-জনাব মোহাম্মদ মঈন উদ্দিনের সঞ্চালনায়-বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন,মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
মাদ্রাসা মসজিদ পরিচালনা পরিষদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন-জনাব মাসুদ আলম শেরশাহ জামে মসজিদের পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক,বক্তব্য ও কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রশ্ন করেন-অত্র মসজিদের খতিব ও ইমাম-জনাব আলহাজ্ব মাহফুজুর রহমান কাসেমী,সাংবাদিক মোহাম্মদ মাসুদ সহ উপস্থিত ছিলেন জনাব অহিদুর রহমান,জনাব সাইফুল ইসলাম,জনাব রেহান আলম,জনাব নাজিম উদ্দিন,সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন,জনাব ছাবের আহমদ,জনাব আমিনুল ইসলাম বাবুল (অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট),জনাব মহিউদ্দিন টিটু’সহ এতে আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের প্রাণ সকল ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি, ভিন্নধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র, স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক, সংগঠক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ। সমাজের ররেণ্য ব্যক্তিবর্গ,অত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত,সুচিন্তাশীল,আন্তরিক দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ প্রতিষ্ঠানের শুভাকাঙ্ক্ষী সহ ধর্মপ্রিয়,ধর্মীয় বিশ্বাস-অনুভূতি,ইসলাম প্রিয় সর্বস্তরের সচেতন জনসাধারণ।
প্রধান অতিথি শাহেদ ইকবাল (বাবু) বলেন-দেশের ৮৫ শতাংশের বেশি মুসলমান তাই ইসলামিক শিক্ষা আমাদের সকলের জন্য জরুরী। এ শিক্ষায় আমাদের ইহকাল পরকালের মুক্তি জীবনের শান্তি কল্যাণ ও আল্লাহর পথে চলতে মনুষ্যত্বের বিকাশে মানসিক ও মানবিকভাবে শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।
প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলাকার সাধারণ গরিব অসহায় বঞ্চিত মানুষ দ্বীনি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আলোকিত হচ্ছে।আমিও আমার দীর্ঘ শিক্ষাজীবনের সকল অভিজ্ঞতা দক্ষতা পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে সকলের সার্বিক সমন্নয় এবং সহযোগিতা পেলে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো উন্নত ও অত্র এলাকার শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।তাই সকলের আরো সহযোগিতা চাই।
সভাপতি আলহাজ্ব মাহমুদুল আমিন বলেন-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থেকে শুরু থেকেই চৌকসতা ও সক্রিয়তার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে সকলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। এবং অসহায় ছাত্রদের শিক্ষা গ্রহনে সবরকমের সাহায্য-সহযোগিতা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুভকাঙ্খী সকলের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান ও আন্তরিক ভাবে প্রতিষ্ঠানটির দিকে সুনজরে সকলকে অনুরোধ জানান।
বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম বলেন-অত্র কোন গরীব অসহায় ছাত্র যাতে টাকা পয়সার অভাবে এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাসুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় এ ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত যত্নশীল ও আন্তরিক এবং সকলকেই শিক্ষার জন্য সাহায্য সহযোগিতা করবেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থ সম্পাদক রেহান আলম দুলু। তিনি বলেন- অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আয়-ব্যয়ের হিসাব অত্যান্ত জবাবদিহিতামূলক এবং যথাযথ আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা হয়।
উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা বলেন, অত্র মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থার গঠনমূলক উন্নতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সবরকমের সহযোগিতা ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক বাস্তবায়নে যে কোন পরামর্শ নির্দেশনা ও উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করেন।
কিন্টার গার্টেন,হেফজবিভাগ,নূরানী মক্তবের সকল শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা শিক্ষাভিত্তিক মূল্যায়ন, মেধাবিত্তিক, সংস্কৃতি,বিনোদন, ভিন্ন ভিন্ন ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ বিজয়ীদের আলাদা আলাদা প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে পুরস্কৃত করা হয়।