যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের বন্দর নগরী বেনাপোলে সাংবাদিক সমাজ আয়োজিত “সাংবাদিক বৈঠক” আলোচনায় পেশাগত দায়িত্ব পালন ও পেশার সন্মান অক্ষুন্ন রাখতে শার্শা উপজেলায় এ পেশায় নিয়োজিত সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
৮ আগস্ট ( সোমবার ) যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল বন্দর বাজারস্থ রহমান চেম্বারের সানরুফে এই সাংবাদিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শার্শা উপজেলা সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি আবুল বাশারেরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বাঁগআচড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফ, সাধারন সম্পাদক আবু সাইদ, সীমান্ত প্রেসক্লাব এর সভাপতি সহিদুল ইসলাম শাহীন, বেনাপোল একতা প্রেসক্লাবের সভাপতি ওহিদুল ইসলাম ওহিদ সহ শার্শা উপজেলার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কর্মরত অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
সাংবাদিক বৈঠকে রাখা বক্তব্যে একতা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান এসময় বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত সকলকে সমমর্যদায় দেখতে হবে।এ অঞ্চলে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের নতুনদের সুযোগ করে দিতে হবে। এ পেশায় নবীনেরা কোন ভাবেই সিনিয়র সাংবাদিক দ্বারা লাঞ্চিত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সাংবাদিক সংস্থা শার্শা উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন বলেন, দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করাকে ক্রেন্দ্র করে সাংবাদিকদের মধ্যে দন্ধ অত্যান্ত দুঃখজনক। এটা কোন ভাবে কাম্য নই তাই আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হই।
বক্তব্যে এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি সেলিম আহমেদ বলেন সাংবাদিক সমাজে আভ্যন্তরীন কোন্দল কাম্য নয়। এছাড়াও সাংবাদিক সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মারুফ বলেন, বড় মানের পত্রিকা মানেই বড় মাপের সাংবাদিক নই তাই সকলকে মূল্যায়ন করতে হবে।
উল্লেখ্য গত ৪ আগস্ট বেনাপোল কাস্টমস্ হাউসের কর্মকর্তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে কোন্দলে জড়ায় গ্রামের কন্ঠের বেনাপোল প্রতিনিধি তরুন সাংবাদিক জাহিদ হাসান ও ইনকিলাব পত্রিকায় কর্মরত বেনাপোলের সিনিয়র সাংবাদিক মহাসিন মিলন।বিষয়টি শেষ পর্যন্ত থানাতে গড়িয়ে পাল্টা পাল্টি সাধারন ডায়েরী অন্তভূক্ত হয়।
বিষয়টি শার্শা উপজেলা সাংবাদিক সমাজের নজরে আসলে আভ্যন্তরীন কোন্দল সমাধানে সচেষ্ট হয়ে এই সাংবাদিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে আয়োজক কমিটি জানাই।।