কে এম সাইফুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এক মসজিদের ইমামকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে বিচারিক আদালত।
নিহত ইমামের নাম ওয়াদুদ খান ওরফে জিন্নাত খান। সেই সাথে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। একই মামলার অপর দুই আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এদিকে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ না থাকায় এবং দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় ১২ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- হায়দার মোল্যা (৬২), ইউনুস মোল্যা (৩৫) ও হিটলার মোল্যা (৩২)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ জুলাই সকালে বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরছিলেন উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের চাওচাপূর্ব পাড়া গ্রামের ওয়াদুদ খান ওরফে জিন্নাত খান। এসময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পুকুরের মালিকানা দাবি করে ওয়াদুদ খান ওরফে জিন্নাত খানকে মাছ শিকারে বাঁধা দেয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা ওয়াদুদ খানকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে এ ঘটনায় নিহত ইমামের ছেলে মো. আলীম খান বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার দুপুরে ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন। সেই সাথে মামলার অপর দুই আসামি আক্তার মোল্যাকে ১ বছর ও সাগর মোল্যাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান (খোকন) এবং রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শহিদুজ্জামান (পিটু)। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মাহাবুবুর রহমান।