ধর্ম ডেস্ক : যুক্তরাজ্যে ইসলামী পদ্ধতিতে মরদেহ গোসল ও দাফন প্রক্রিয়া শেখার আগ্রহ বেড়েছে বহুগুণ। তবে এ কাজের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। তাই তরুণদের কর্মশালার মাধ্যমে এ বিষয়ে দক্ষ করে তুলছে ব্রিটিশ সমাজসেবামূলক সংস্থা সাপোর্টিং হিউম্যানিটি।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে গোসল বিষয়ক ওয়ার্কশপ শুরু করেছে লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটি। এরপর থেকে এ বিষয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকে ব্রিটেনের মুসলিম কমিউনিটি ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
আগে বয়স্ক নারীরা গোসল ও কাফন প্রক্রিয়ার দায়িত্ব পালন করলেও করোনাকালে তাদের পরিবর্তে তরুণ নারীদের চাহিদা বেড়েছে বলে জানান সাপোর্টিং হিউম্যানিটি এর অপেরশন ও যোগাযোগ বিভাগীয় প্রধান তাহরিম নুর। সাপোর্টিং হিউম্যানিটি এর ট্রাস্টি সুমাইয়া খুদা বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে গোসল বিষয়ক ওয়ার্কশপের আয়োজন করে আসছে সাপোর্টিং হিউম্যানিটি। ইসলামী পদ্ধতিতে মরদেহের গোসল ও কাফন-দাফনের পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। প্রথম দিকে শুধুমাত্র তিনটি ওয়ার্কশপ আয়োজনের ইচ্ছা থাকলেও আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরো ইংল্যান্ডে আমরা এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। মানুষ যেন মরদেহের গোসল ও কাফন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারেন।
ইসলামী শরিয়াহ মতে, মৃত্যুর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। ইসলামী রীতি অনুসারে মরদেহ গোসলের পর একটি পরিষ্কার সুগন্ধিযুক্ত সাদা কাফনে আবৃত করা হয়। মরদেহের চুল আঁচড়ানো হয় এবং নারী হলে বেনী করা হয়। সাধারণত, একজন বিশেষজ্ঞ গাইডের সঙ্গে থাকেন মৃতের আত্মীয়রা।
গত তিন বছরে কয়েক হাজার মরদেহ গোসল প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন গোসল ওয়ার্কশপের প্রধান ফ্যাসিলিটেটর সালমা প্যাটেল। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম, মরদেহকে কাফন পরানোর নিয়ম, তাদের চুল ঢেকে রাখা এবং শুরুতে অযু করা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সবার সামনে তুলে ধরেন।