আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগে চারটি বিয়ে করেছিলেন শফি আহমেদ। রয়েছে সাতটি সন্তানও। কিন্তু তারপরও পঞ্চম বিয়ে করতে সাধ হয়েছিল তার। পৌঁছে গিয়েছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠান পর্যন্তও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সন্তানদের বাধায় আর ‘কবুল’ বলা হয়নি। উল্টো জেলে যেতে হয়েছে ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চার স্ত্রী ও সাত সন্তানের পিতা শফি আহমেদ গত বুধবার (৩১ আগস্ট) আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছিলেন। কিন্তু শুভকাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই লাগে ঝামেলা। বিয়ের আসরে হাজির হয় তার সাত সন্তান। বাবার পঞ্চম বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তারা।
জানা যায়, বুধবার রাতে নাটকীয় কায়দায় এই ঘটনা ঘটে। আমন্ত্রিত অতিথি সেজে বাবার বিয়েতে হাজির হয় শফি আহমেদের সন্তানরা। কাজী আসল কাজ সারার আগেই কনের পরিবারকে নিজেদের পরিচয় জানায় তারা। আর তাতেই শুরু হয় শোরগোল। কনের পরিবার ও বরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে সাত সন্তান। এমনকি বিয়ের আসরে মারামারিও শুরু হয়ে যায়। তবে আগে ভাগেই পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিল সন্তানরা। ফলে ঝামেলা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বরের সন্তানেরা বিষয়টি আমাদের জানিয়েছিল। তাই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করি।
জানা গেছে, কিছুদিন ধরে পরিবারের খরচ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন শফি আহমেদ। এরপর ছেলেমেয়েরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, তাদের বাবা আবার বিয়ে করতে চলেছেন। একথা জানার পরেই শফিকে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করে তারা। সেই মতোই কাজ হয়। ফলে পঞ্চম বিয়ে ভেস্তে যায় ওই ব্যক্তির।