বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় যুবলীগ নেতা হাসান আবারো বেপরোয়া : থেমে নেই চাঁদাবাজি বিশ্ব কন্যা শিশু দিবসে নেলসন ম্যান্ডেলা পিস এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক এম শিমুল খান বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের কারনে ঘরে বসেই বকেয়া বুঝে পাচ্ছেন বিআরটিসির অবসরপ্রাপ্তরা যে কোন ষড়যন্ত্র রুখে দিবে বিআরটিসির কর্মীরা বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বিআরটিসিতে এনেছেন আমূল পরিবর্তন বিআরটিসি কল্যানপুর বাস ডিপোর সাবেক ম্যানেজার নুর-ই-আলমের ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা ও দুদক বরাবর অভিযোগ বিআরটিসি বরিশাল বাস ডিপোর সাবেক ম্যানেজার জামশেদ আলীর ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা ও দুদক বরাবর অভিযোগ প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ মধ্যরাতে গোপনে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেন তারেক রহমান সওজ বিভাগের প্রকৌশলী তাপসী দাসের ফের খুলনায় আসার খবরে ক্ষিপ্ত নাগরিক সমাজ

টাকার বিনিময়ে লাগেজ পার্টিদের সহযোগিতা করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩৪৯ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি: টাকার বিনিময়ে লাগেজ পার্টিকে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে কাস্টমস কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের তারেক আজিজ আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছেন।সাথে নিয়ে এসেছেন আমদানি নিষিদ্ধ কিছু ঔষধ।

ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে কাস্টমস অফিসে আসলে আশিক ঘোষ ও কামরুজ্জামান নামে কাস্টমসের দুইজন তার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে একটি মোবাইল নাম্বার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন চলে যান। এভাবেই চেকপোষ্ট কাষ্টমসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে লাগেজ ব্যবসা আবারও জমজমাট হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সাতকাানিয়ার ইমতিয়াজ মাহমুদ, রেজা উদ্দিন ও নূরুল আলম তিন ব্যাক্তি ১১ টি ব্যাগ নিয়ে ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশে আগমন করেন। তাদের ব্যাগে ছিলো ভারতীয় গার্মেন্টস পণ্য। তারা স্থানীয় দালালের মাধ্যমে আখাউড়া কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা লুৎফর রহমান সবুজকে ৮ হাজার টাকা দিয়ে লাগেজে আনা কাপড়ে নামমাত্র শুল্ক আদায় করার বিষয়টি ম্যানেজ করেন।

আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কাপড়, ঔষধ, কসমেটিকস, শিশু খাদ্য নিয়ে আসা পণ্য কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিদের ম্যানেজ করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্যগুলো বের করে নিয়ে যায়। এসব পণ্য ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।

লাগেজ ব্যবসায়ি সিন্ডিকেট দালালদের সঙ্গে কাষ্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর গোপন আতাতের মাধ্যমে ভারত থেকে আনা বিভিন্ন ধরণের পণ্যের মূল্য নির্ধারণে চলছে আয়নাবাজি। ভারত থেকে আনা পণ্যের দাম নিয়মমাফিক না ধরে অল্প মূল্যের মাধ্যমে ছাড়পত্র প্রদান করছে। পণ্যের ওপর থেকে নিয়ম অনুযায়ী রাজস্ব আদায় না করে লাগেজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা অবৈধভাবে আদায় করছে কতিপয় কর্মকর্তা। ফলে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিদিন মোটা অংকের রাজস্ব থেকে।

এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা লুৎফর রহমান সবুজ বলেন আপনি অফিসে আসেন কথা বলবো। ফোনে বলা যাবে না অফিসে সব লেখা আছে। পরবর্তীতে দুপুর আড়াইটার সময় অফিসে গিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলে আমি আমার উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন কথা বলতে পারবো না। তাছাড়া আমি আগে যাচাই করতে হবে আসলেইকি তারা এমন কিছুর সাথে জরিত কি না। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান দেওয়ার পরও কেন বক্তব্য দিবে না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেন আইন হয়েছে তাই আমি কোন বক্তব্য দিবো না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 agamirbangladesh24.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin