আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে ভয়াবহ রূপ নেয়া বন্যায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। রেকর্ড বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় এরই মধ্যে ডুবে গিয়েছে দেশটির এক-তৃতীয়াংশ জনপদ। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ছাড়াও মারা পড়েছে কয়েক হাজার গবাদি পশু। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষাধিক বাড়ি। বেশ কিছু সেতুও ভেঙে পড়েছে।
এদিকে অধিকাংশ কৃষিজমি পানির তলে চলে যাওয়ায় ক্রমশ পাকিস্তানজুড়ে বাড়ছে খাদ্য সংকট। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল ভারত থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির ইঙ্গিত দিলেও এখনো এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ করেনি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের সমরখন্দে বসতে চলেছে শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশনের (এসসিও) শীর্ষ বৈঠক। সেই মঞ্চে মোদীর পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন শাহবাজও। তবে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলাদা করে কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।
বর্তমানে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দেশটিতে। ২০১০ সালে এমন বন্যা পরিস্থিতি দেখেছিল পাকিস্তানের মানুষ। মানবিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সিন্ধু নদীর পানি উপচে সিন্ধু রাজ্য প্লাবিত হয়েছে, যা বিপর্যয়ের কেন্দ্রস্থল বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিয়ো গুতেরেসসহ অনেক কর্মকর্তা বর্ষা পরবর্তী এই অস্বাভাবিক বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। তিনি এই সপ্তাহের শুরুতে বিশ্বকে এই ভয়ানক সঙ্কটের মুহূর্তে সজাগ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ম্যাথিও সল্টমার্শ বলেন, বন্যার্তদের জন্য তারা খুব দ্রুতই তাবু, কম্বল, প্লাস্টিক শিট, বাকেট ও অন্যান্য গৃহস্থালি পণ্যসামগ্রী পাঠাবে।
তিনি বলেন, দেশটিতে থাকা আমাদের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, মানুষ অকল্পনীয় ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে।