বিশেষ প্রতিনিধি : লেবাননে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন শিশু সন্তানসহ প্রবাসী এক নারী। বিষক্রিয়া কম থাকায় বেঁচে গেছে শিশু সন্তান মাহমুদ। মৃত শিরিনের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায়। তবে দেবিদ্বারের কোন গ্রামে তা এখনও জানা যায়নি। স্বামী রাজু ও দুই শিশু সন্তান মাহমুদ এবং খাদিজাকে নিয়ে লেবাননের সাবরা বাজার এলাকায় বসবাস করতেন শিরিন। এদিকে, শিরিন ও এক শিশু সন্তানের মৃত্যুর জন্য স্বামী রাজুকে দায়ী করছেন শিরিনের মা মনোয়ারা বেগম। তিনি রাজুর উপযুক্ত শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন একটি ভিডিও বার্তায়।
লেবানন থেকে শিরিনের প্রতিবেশীরা বলছেন, শিরিনের স্বামী রাজু লেবানন থেকে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। পালিয়ে আসার পর থেকে পাওনাদারেরা ঋণের টাকার জন্য শিরিনকে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। এছাড়াও লেবাননে পারিবারিকভাবেও অচ্ছল ছিল শিরিন। অবশেষে পাওনাদারদের চাপ সহ্য করতে না পেরে দুই শিশু সন্তান মাহমুদ ও খাদিজাকে নিয়ে বিষপানে আত্মহণের পথ বেছে নেন তিনি। তবে বিষক্রিয়ায় কম থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শিশু মাহমুদ। এরই মধ্যে লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় শিশু খাদিজার লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে এবং শিরিনের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর সব রকম প্রস্তুতি চলছে বলে সূত্র থেকে জানা গেছে।
শিরিনের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, স্বামীর ঋণের বোঝার চাপে আত্মহত্যা করেছেন আমার মেয়ে। পাওনাদারেরা প্রতিনিয়ত টাকার জন্য চাপ দিতো তাকে। আমি আমার মেয়ের লাশ ফেরত চাই। প্রতারক স্বামী রাজুর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
দেবিদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, লেবাননে মা-মেয়ের আত্মহত্যার কোন খবর থানায় আসেনি। খবর পেলে বিস্তারিত জানতে পারব।