নিজস্ব প্রতিবেদক:বাজারে অন্য সবজির তুলনায় বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, টমেটো আর গাজর। এ তালিকায় আরও রয়েছে বরবটি, শসা, করলাসহ অন্যান্য সবজিও। বর্তমানে শিম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে এ সবজিটি বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। এদিকে কেজি প্রতি ১০ টাকা কমলেও এখনো শতকের নিচে আসেনি গাজর ও টমেটোর দাম। এক কেজি টমেটো কিংবা গাজর কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১২০ টাকা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য মিলেছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজার ভেদে কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, করল্লা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিংগা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শশা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। কচুর মুখী ৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, দুন্দল ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ফুল কপি ৫০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়ার ফালি ২০ থেকে ৩০ টাকা, কলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। আজ ব্রয়লারের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা হালি দরে। আর ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি দরে।
মুদি বাজারে আরেক ধাপ বেড়েছে চিনির দাম। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। লাল চিনির কেজি ১০০ টাকা। দেশি মুশুরের ডাল ১৩০ টাকা। ভারতীয় মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে। খোলা আটা ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা কেজি। ৫ টাকা বেড়ে দুই কেজির প্যাকেট আটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা।
মাংসের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। প্রতি কেজি গরুর মাংসের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত। আর খাসির মাংস ৯০০ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। মাছের বাজারে দেখা যায় পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। বড় আকারের ও জীবন্ত পাঙ্গাশ কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে তেলাপিয়া মাছ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। বাজার ভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। কাতল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। নলা মাছ ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা। শিং মাছ ৬০০ থেকে হাজার টাকা।
এছাড়া আকার ভেদে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। ছোট মাছের মধ্যে কাঁচকি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা ও পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে।