এম নাসির উদ্দীন খান রিপন: গত দুই মাস ধরে খুলনার বাজারে চোখ রাঙাতে থাকা কাঁচামরিচ, মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সবজির বাজারে নেই কোনো সুখবর। বৃষ্টি না থাকায় একেবারেই কমে গেছে সবজির উৎপাদন। এতে বাজারে সরবরাহ নেমে এসেছে অর্ধেকে। ফলে ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে সবজির দাম। খুলনার মাছের বাজারেও যেন লেগেছে আগুন। পানির অভাবে খালবিল শুকিয়ে যাওয়ায় কমে গেছে মাছের আমদানিও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম এক লাফে কমে ৬০ টাকায় নেমে এসেছে। ১৯০ টাকার মুরগির দাম ১৬০ টাকা আর ৫২ টাকার ডিম ৪৪ টাকায় নেমে এসেছে। তবে সরবরাহ কম হওয়ায় সবজির দাম কমছে না।
খুলনার টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা রানা, রবিউল ও হোসেন বলেন, বাজারে এখন সবচেয়ে দামি সবজি বেগুন। এক কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লাউ ৪০-৫০ টাকা, কুমড়া ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, ওল ৫০ টাকা, উচ্ছে ৪০ টাকা, আলু ২৮ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, কুশি ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার নগরীর পিটিআই মোড়ের কাঁচামাল বিক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ এতো কমে গেছে যে, দাম দিয়েও তা মিলছে না। জোড়াকল বাজারের মুরগি বিক্রেতা লিপু, বাবু, মনির বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমে যাওয়ায় অন্যান্য মুরগির দামও একটু কমেছে।
বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম, মোনাজাত, নান্টু ও মালেক তালুকদার বলেন, বাজারের প্রায় সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি। চিংড়ি মাছ সাইজভেদে ৪০০ থেকে ৫৮০ টাকা, বাগদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ভেটকি মাছ ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৮০ টাকা, রুই, কাতলা ৩০০ টাকা, ইলিশ মাছ ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা, তপসে মাছ ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তারা বলেন, খালবিলে পানি নেই, সুন্দরবনের কোনো মাছ এখনও আসেনি। ফলে মাছের দাম কমছে না।
ভোক্তা অধিকার দপ্তরের উপপরিচালক শিকদার শাহিনুর আলম বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের উদ্যোগে খুলনার বাজারগুলোতে সব সময় অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে কিছুদিন বাজার অস্থির হয়েছিল। এখন তা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কোথাও অনিয়মের খবর পেলেই সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।