বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় যুবলীগ নেতা হাসান আবারো বেপরোয়া : থেমে নেই চাঁদাবাজি বিশ্ব কন্যা শিশু দিবসে নেলসন ম্যান্ডেলা পিস এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক এম শিমুল খান বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের কারনে ঘরে বসেই বকেয়া বুঝে পাচ্ছেন বিআরটিসির অবসরপ্রাপ্তরা যে কোন ষড়যন্ত্র রুখে দিবে বিআরটিসির কর্মীরা বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বিআরটিসিতে এনেছেন আমূল পরিবর্তন বিআরটিসি কল্যানপুর বাস ডিপোর সাবেক ম্যানেজার নুর-ই-আলমের ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা ও দুদক বরাবর অভিযোগ বিআরটিসি বরিশাল বাস ডিপোর সাবেক ম্যানেজার জামশেদ আলীর ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা ও দুদক বরাবর অভিযোগ প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ মধ্যরাতে গোপনে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেন তারেক রহমান সওজ বিভাগের প্রকৌশলী তাপসী দাসের ফের খুলনায় আসার খবরে ক্ষিপ্ত নাগরিক সমাজ

সুইস ব্যাংকে তারেকেরই দেড় হাজার কোটি টাকা

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩৫৯ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে সুইস ব্যাংকে কারা টাকা রেখেছে, তার তালিকা নিয়ে হুলুস্থুল চলছে। সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড দাবি করেছেন যে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কারা টাকা রেখেছে সে তথ্য চাওয়া হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বক্তব্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা তথ্য চেয়েছিলাম। আবার অন্যদিকে হাইকোর্ট এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে। হাইকোর্ট এই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমরা সুইজারল্যান্ডের কাছে তথ্য চেয়েছি কিন্তু তারা তথ্য দেয়নি। সবকিছু মিলিয়েই এক ধরনের তোলপাড় চলছে। তবে বাংলাদেশ তথ্য না পেলেও যুক্তরাজ্য ঠিকই তথ্য পেয়েছে। যারা রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে ব্রিটেনে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের কাছে তাদের সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। সেই তথ্যে জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের ১৪৭৫ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে জমা হয়েছে। এই টাকাগুলো জমা হয়েছে ২০০১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে গচ্ছিত এই টাকাগুলো কি পথে সুইজারল্যান্ডে এসেছে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত বিবরণ জানানো হয়েছে যুক্তরাজ্যকে।

উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার তদন্ত শুরু করে। বিশেষ করে লন্ডনে বসে কোনরকম বৈধ আয়ের উৎস ছাড়াই তিনি যে জীবন যাপন করছেন এ নিয়ে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু হয়। এই তদন্তের একপর্যায়ে তারেক জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা। সেই জিজ্ঞাসাবাদে তারেক জিয়া দাবি করেন যে, তার টাকার একটি বড় অংশ আসে ক্যাসিনো থেকে। তিনি নিয়মিত জুয়া খেলেন। সেখান থেকে তিনি অর্থ উপার্জন করেন। দ্বিতীয় অর্থ উপার্জনের উপায় হলো অনুদান। বিভিন্ন মহল তাকে অনুদান দেয়। এই প্রেক্ষিতে তারেক জিয়া দাবি করেন যে, শুধু যুক্তরাজ্যে নয়, যুক্তরাজ্যের বাইরেও তার একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেও তিনি যুক্তরাজ্যে টাকা নিয়ে আসেন। উল্লেখ্য যে, তারেক জিয়া ২০১৭ সালে ব্রিটেনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। ব্রিটিশ নিয়ম অনুযায়ী একজন ১০ বছর বিরতিহীনভাবে যুক্তরাজ্যে থাকলে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই বিবেচনা থেকে তারেক জিয়া আবেদন করেন। যদিও তার নাগরিকত্বের আবেদন এখন পর্যন্ত গৃহীত হয়নি।

কিন্তু তারেক জিয়ার বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকায় ব্রিটিশ সরকার তারেক জিয়াকে অন্যদেশে স্থানান্তর করেনি। বরং লন্ডনেই তাকে রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই বিবেচনা থেকে তারেক জিয়া এখন লন্ডনে আছেন। এই সময় ব্রিটিশ সরকার তার বিভিন্ন দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অর্থের সম্পর্কে জানতে চায়। সে সময় তারেক জিয়া বিশ্বের পাঁচটি দেশে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে বলে লিখিত হলফনামায় জানিয়েছেন। এই তথ্য বাংলা ইনসাইডার নিশ্চিত করেছে। যে পাঁচটি দেশে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য এবং সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডে ২০০১ সালে তারেক জিয়া প্রথম একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট করে। এই যৌথ অ্যাকাউন্টে তারেক জিয়ার সঙ্গে আরেকজন অ্যাকাউন্টহোল্ডার ছিলেন। তিনি হলেন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০০২ সালে সুইস ব্যাংক থেকে একটি ডেবিট কার্ড গ্রহণ করেন এবং একই সময় তারেক জিয়ার নামে একটি সাপ্লিমেন্টারি কার্ড গ্রহণ করা হয়। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে সুজারল্যান্ডের সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে তারেক জিয়ার ব্যাংক হিসেবে স্থিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা। এরপর ২০০৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সুইস ব্যাংকে তারেক জিয়ার কোনো অর্থ জমা হয়নি।

এই সময় তারেক জিয়া সুইস ব্যাংক থেকে বেশ কিছু টাকা লন্ডনে স্থানান্তর করেন। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তারেক জিয়ার সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৫ কোটি টাকার লন্ডনের ব্যাংকে জমা হয়। একই সময়ে লন্ডনের আরেকটি ব্যাংকে ৫০ কোটি টাকা স্থানান্তর হয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, তারেক জিয়া ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নিয়মিতভাবে সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখছেন এবং সুইস ব্যাংক থেকে টাকা লন্ডনের বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এখন সুইস ব্যাংকে তার টাকার পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। ধারণা করা হচ্ছে যে, নির্বাচনে মনোনয়ন কমিটি গঠন ইত্যাদির মাধ্যমে তারেক জিয়া টাকাগুলো পান। যে টাকাগুলো মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে যায় এবং সেখান থেকে এটি সুইস ব্যাংকে জমা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 agamirbangladesh24.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin