বিশেষ প্রতিবেদক : স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, সারাদেশে হাসপাতাল এবং ক্লিনিক গুলোতে অধিদপ্তরের যে অভিযান চলছে এটা সরকারের একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। মাস তিনেক আগেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই অভিযান পরিচালনা করেছিল। সে সময় অনেকগুলো অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তিন মাস পর এখন আবার অভিযান চালানো হচ্ছে। আমার মনে হয় এই অভিযানের ফলে অনেক ক্লিনিক নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করেছে। আবার অনেকগুলো বন্ধ হয়েছে। পাশাপাশি সরকার ইতোমধ্যে আরেকটি উদ্যোগ নিয়েছে সেটা হলো চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত হাসপাতালগুলোর মান যাচাই করার জন্য বিভিন্ন রকম কমিটি করেছে। এই সমস্ত কমিটি মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবে। ফলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। যেমন এ, বি, সি এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে এবং সে ক্যাটাগরি অনুসারে হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোর তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এতে করে জনগণের সুবিধা হবে। তারা সহজে জানতে পারবে কোনো হাসপাতালে সেবার মান কেমন আছে।
সারাদেশে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান, ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
ডা. এম এ আজিজ বলেন, মাঝে মাঝে এ ধরনের অভিযান হাসপাতাল গুলোর সেবার মান বৃদ্ধি করবে। স্বাস্থ্যখাতে একটি বড় অংশ বেসরকারি খাতে রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অভিযান পরিচালনার জন্য যে জনবল দরকার সেটা এখনো গড়ে উঠেনি। বেসরকারি খাতে অনেক হাসপাতাল, ক্লিনিক আছে। সুতরাং হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোর সেবার মান ধরে রাখার জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা দরকার এবং এটা জন্য আলাদা একটি অধিদপ্তর করা উচিত বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, ইদানীং দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। সেজন্য সিটি কর্পোরেশনগুলোকে আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনগুলোর মশক নিধন অভিযান আরও জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের আশে পাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাড়ির ছাদ বাগান, বাগানের ফুলের টব, বাসার ফ্রিজ ইত্যাদি সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। মশা যেন না কামড় দেয় সেজন্যও সতর্ক থাকতে হবে। দিনের বেলায় ঘরের মধ্যেও মশারি টানতে হবে যেন মশার কামড় থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
ডা. এম এ আজিজ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা শুধুমাত্র সরকার কিংবা সিটি কর্পোরেশনের একার কাজ নয়। সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। সিটি কর্পোরেশনকে আরও বেশি শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। যে সমস্ত জায়গায় মশার ডিম পারার সুযোগ আছে নেই জায়গা গুলোকে ধ্বংস করতে হবে। কারণ এডিস মশা মারলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।