নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃসৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন দেশের উন্নয়নের জন্য, আমি সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি। আর আমার জনগণকে দিয়েছে ঢালস্বরুপ। আমি সর্বদা আমার জনগণের কথা চিন্তা করেই আমার জীবন দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে এবং আজীবন করে যাবো ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন সব সংসদ সদস্যগন তার নিজ এলাকার জনগণের কথা চিন্তা করেন। কিন্তু আমি একা ৩০০ আপনের ১৭ কোটি বাঙালির চিন্তা নিয়ে চলি।
আমি আমার জনগণের উপর অত্যন্ত খুশি যে তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আমাকে এবং আওয়ামীলীগ কে ভোট দিয়ে জয় লাভ করান। দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরের আজ দ্বিতীয় দিনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামি লীগ কার্যালযয়ে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রেনেড-গুলি-বোমা সব পেরিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ একটা মানুষকে চান্স দেন। যতক্ষণ তার সেই কাজ শেষ না হয় ততোক্ষণ আল্লাহই রক্ষা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করাই লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা এবং যুদ্ধ না থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যেতো । প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব এমপি নিজের এলাকায় যান৷ কিন্তু আমাকে দেখতে হয় পুরো ৩০০ আসন৷ তবে মজার বিষয় হলো, টুঙ্গিপাড়াবাসীই আমাকে দেখে রাখেন।
বুধবার সকাল ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা সহ নানা আলোচনা ও মতবিনিময় করেন শেখ হাসিনা। টুঙ্গীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভায় স্থানীয় বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে তিনি জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জাতির পিতার সমাধির সামনে কিছুটা সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। এছাড়া দেশের অব্যাহত উন্নয়ন, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে টুঙ্গিপাড়ায় তার নিজ বাসভবনে রাত্রিজাপন করেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা শেষে দুপুর ২ টা সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রীর।