এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাটঃ বাগেরহাটের মোংলার যুবক আল-আমিনকে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে হত্যা ঘটনার প্রধান আসামী ঘাতক হেলাল ভুইয়াকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ অক্টোবর) নিহত আল-আমিনেন স্ত্রী থানায় মামলা দায়ের করা মামলায় রাত দেড়টার দিকে বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে খালাবাড়ী থেকে তাকে আটক করে মোংলা থানা পুলিশ।
মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, বুধবার দুপুরে মোংলা নদী পাড়াপারের মামার ঘাট এলাকা দিয়ে আল-আমিন নামের এক যুবক ভ্যান চালিয়ে যাওয়ার সময় চালকের অসাবধানতা বসত হেলাল ভুইয়ার পায়ে ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পথচারী হেলাল ভুইয়া ভ্যানচালক আলা-আমিনকে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে ভ্যান চালক অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক হেলাল দ্রুত পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে।
ওই ঘটনার পরপরই হত্যাকারী হেলাল ভুইয়াকে আটকে অভিযান শুরু করে মোংলা থানা পুলিশের পৃথক দল। তাদের ইলেট্রিক্স ডিভাইজ কাজে লাগিয়ে ২৫ অক্টোবর রাতে থানা পুলিশের পৃথক ৬টি টিম অভিযান চালিয়ে ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার ভান্ডারখোলা গ্রামের তার খালার বাড়ি থেকে ঘাতক হেলাল ভুইয়াকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় বিবরণে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মোংলা থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে ঘাতক হেলালকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের হাতে আটক যুবক আল-আমিনের হত্যাকারী হেলাল ভুইয়া মোংলার মামার ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী শহিদুল ভুইয়ার ছেলে। আর নিহত আল-আমিন শেখ পেশায় ভ্যান চালক এবং মোংলা উপজেলার মালগাজী গ্রামের সবুর শেখের ছেলে। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তান রয়েছে।
মোংলা সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন, হত্যাকান্ডর পরপরই ঘাতক হেলাল ভুইয়া পালিয়ে যায় ফলে গ্রেফতার করতে একটু সময় লেগেছে। তারপরেও ঘটনার পরপরই ঘাতক হেলালকে গ্রেফতার করতে জেলা পুলিশ সুপারের সহায়তায় আমাদের পুলিশের পৃথক পৃথক টিম অভিযান শুরু হয়। পরে তার স্বজনদের মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে এবং আমাদের গোপন সোর্সদের মাধ্যমে রাত দেড়টার দিকে বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার ভান্ডারখোল এলাকার তার খালাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলেও জানায় তিনি। বিকালে জেল হাজতে পাঠানো হলেও এর সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা বা কারা পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে, সে ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতের কাছে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।