নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ফুটপাতের চাঁদাবাজী করে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন। ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় কোটি কোটি টাকা অর্থ পাচার করছে দেশ-বিদেশে। আর তার এই চাঁদাবাজির ব্যাপারে ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকারকে পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করছে ইব্রাহিম হোসেন ইবু।
আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব সরকারকে চাঁদাবাজিতে সহযোগিতার পাশাপাশি ইব্রাহিম হোসেন ইবু গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। কিনেছেন এলিফ্যান্ট রোডে ফ্লাট, গাউছিয়া ও নিউমার্কেটে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের দোকান, গাড়ি ও বাড়ি। যেখানে দ্রব্যমূলের অশনিও বৃদ্ধিতে মানুষের জীবনে চলার জন্য কষ্ট হচ্ছে সেখানে ইব্রাহিম হোসেন ইবু কিনেছেন গাড়ি বাড়ি ও কয়েক কোটি টাকার গহনা। ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে গরু কিনে কোরবানি দিয়েছেন, এক ছেলে ও এক মেয়ে পড়াশোনা করে অস্ট্রেলিয়াতে। লোক মুখে শোনা যায় অস্ট্রেলিয়াতে অনেক টাকা পাচার করেছেন ইব্রাহিম হোসেন ইবু। আর এ সব কিছু সম্ভব হয়েছে ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকারের কারনে। জনশ্রুতি রয়েছে ইব্রাহিম হোসেন ইবুর স্ত্রীর সাথে আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব সরকারের রয়েছে গোপন সম্পর্ক।
১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার থানার ওসি, এসি সহ সবাইকে টাকা দিয়ে নিজের মতো যা ইচ্ছা তা করছেন ফুটপাতে ও রাস্তায়। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ব্রিজ নির্মানাধীন থাকায় রাস্তায় ও ফুটপাতে হকারদের বসিয়ে চলছে চাঁদাবাজি।
এছাড়াও বিপ্লব সরকারের সাথে রাজনীতি ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত রয়েছে সাত্তার মোল্লা, বিপ্লব সরকারের নিজের ফুফাতো ভাই শাহীন, সেলিম আমিনুল, মামুনসহ আরো বেশ কয়েকজন। তারা একেক জন একেকটি ফুটপাতের লাইনের নিয়ন্ত্রক। বিপ্লব সরকারকে অনেকে দেখতে না পারলেও তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ তার সামনে কিছু বলেন না। বিপ্লব সরকার তার নিজের দুই ছেলেকে লেখাপড়া করান অক্সফোর্ড ইটারন্যাশনাল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। নিজের ভাইদেরকে দিয়েও করান বই মার্কেটের পাইরেসি ও বই মার্কেট দখল বাণিজ্য।
হকাররা বলেন, নিউমার্কেটের আশপাশের সড়কগুলোতে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক হকার বসেন। এসব হকারের কাছ থেকে দিনে গড়ে ২০০ টাকা করে চাঁদা তোলেন লাইনম্যানরা। এই হিসাবে দিনে প্রায় লাখ টাকা চাঁদা ওঠে। আর এ সব চাদার টাকা যায় আওয়ামী লীগে নেতা বিপ্লব সরকারের কাছে।
১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার প্রতি মাসে ইব্রাহিম হোসেন ইবুর কাছ থেকে নেন প্রায় ১ কোটি টাকা। হাজী মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
চাঁদাবাজি, মাদক ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে বই মার্কেটে,পাইরেসি ব্যবসা এবং ফুটপাতের চাঁদাবাজি করে হয়েছেন কোটি টাকার মালিক। দুবাইয়ে রেষ্টুরেন্ট খুলেছেন হাজী মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার। বউ ও শ্বশুরের নামে কিনেছেন ফরিদপুরে কয়েকশো কোটি টাকার জায়গা সম্পত্তি। এক সময় বলাকা সিনেমা হলের সামনে টিকিট বিক্রি ও ফুটপাতে দোকানদারি করা বিপ্লব সরকার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বদলে ফেলেন তার জীবনযাত্রা। হয়েছেন প্রায় কয়েকশো কোটি টাকার মালিক। বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন রোজার সময়। কোরবানির সময় বিপ্লব সরকার কয়েক লক্ষ টাকার গরু কিনে কোরবানি দেন।
এ ব্যাপারে হাজী মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার ও ইব্রাহিম হোসেন ইবুর সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তার এ সকল ঘটনা অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন দুদক বিষয় গুলি নিয়ে তদন্ত করলে আরো অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে।