বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকাঃ রাজধানীর দারুসসালাম থানার ওসি (তদন্ত) জামালের প্রত্যক্ষ মদদে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার মাদকাসক্ত খুনি নাবিল খান দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানায়, দারুসসালাম থানা এলাকার আতংকের অপর নাম কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার খুনি নাবিল খান। নাবিল খান কিশোর গ্যাং থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা,দেহ ব্যবসা,জমি দখল,ছিনতাই ও মারামারি একক নিয়ন্ত্রক এ এলাকার। নাবিল খানের এ সকল কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে চলছেন ওসি (তদন্ত) জামাল এবং বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
এলাকাবাসী আরো জানায়, নাবিল খান মিরপুর-১ এর ফুটপাত, কাঠপট্টি, পাইকারী কাঁচাবাজার,পাইকারী মাছের আড়ত, বালুঘাট, টেম্পুষ্ট্যান্ড ও মাদক ব্যবসা থেকে প্রতিদিন কয়েকলাখ টাকা চাঁদাবাজি করেন। আর নাবিল খানের নির্দেশে মারামারি-কাটাকাটি তো এলাকার প্রতিদিনের রুটিন ওয়ার্ক হয়ে দাড়িয়েছে।
পুলিশের তালিকাভূক্ত মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী র্যাবের হাতে ক্রসফায়ারে নিহত পিয়াল খানের মামাতো ভাই এই নাবিল খান। নিহতের পর পিয়াল খানের অস্ত্রের ভান্ডার নাবিল খানের কাছে রয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
উল্লেখ্য যে, নাবিল খান সাভার থানার কাউনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় চাচা সাইফুল খানের প্রতিপক্ষের একজন কর্মীকে প্রকাশ্যে খুন করে নিজে খুনী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন।
ডিএমপির তালিকা অনুযায়ি খুনি নাবিল খান দারুস সালাম থানার একজন চিহ্নিত কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার। নাবিল খানের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও যুগান্তর প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও দারুসসালাম থানা পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও নাবিল খানকে রহস্যজনক কারনে পুলিশ গ্রেফতার করছে না। নাবিল খানের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এলাকাবাসী প্রানভয়ে নাবিল খানের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বা থানায় অভিযোগ করতে সাহস পায় না।
দারুসসালাম থানা এলাকাবাসী চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার খুনি নাবিল খানের নির্যাতন ও অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে এবং এলাকার কিশোর ও যুবকদের ধ্বংসের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য সাথে ওসি (তদন্ত) জামালকে দারুসসালাম থানা থেকে অপসারনের দাবিতে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন।