বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সওজ বিভাগের প্রকৌশলী তাপসী দাসের ফের খুলনায় আসার খবরে ক্ষিপ্ত নাগরিক সমাজ গোপালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামানের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিম সভা অনুষ্ঠিত ঢাকার দোহারে জামায়াতের কর্মী সন্মেলন অনুষ্ঠিত ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে বিদ্রোহের ষড়যন্ত্র! ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিআরটিসি : ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে লাভ ৪৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা  ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে লাভ ২৫ কোটি ৪ লাখ টাকা আওয়ামী সরকারের বৈষম্যের শিকার একজন তাজুল ইসলাম বিআরটিসির দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম এবার স‌রি‌য়ে দেওয়া হ‌চ্ছে বিভাগীয় ক‌মিশনার ও ডিসিদের খুলনার পাইকগাছায় বড় ভাইয়ের রডের আঘাতে ছোট ভাইয়ের ৮দিন পর মৃত্যু অবৈধ টাকায় অবাধ সাম্রাজ্য নারীলিপ্সু পাসপোর্ট অফিসের পরাগের

আমার দেখা একজন কর্মবীর মোঃ তাজুল ইসলাম

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৭৫ Time View

এম শিমুল খান, ঢাকাঃ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের মেধা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, আন্তরিকতা এবং সাহসিকতায় বিআরটিসি কে আরো এক শত ধাপ উপরে নিয়ে যাবে। এটা বিআরটিসির সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দৃঢ় বিশ্বাস।

মোঃ তাজুল ইসলামের বিচক্ষণতা ও কর্মদক্ষতা প্রমান করে তিনি এ দেশের একজন সুর্য সন্তান। তিনি বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসাবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তার সার্বিক দিক নির্দেশনায় কারিগরি, প্রশিক্ষণ, স্থাপনাসহ সকল ক্ষেত্রে সক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে। তার আন্তরিকতা ও দুরদর্শিতার কারনে আজ সাধারণ মানুষের কাছে বিআরটিসি একটি জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য অবস্থানে পৌছেছে। সেই সাথে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে বিআরটিসি।

আমার দেখা একজন তাজুল ইসলামঃ বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম। যাকে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। প্রতিটি মানুষের সাথে তার অমায়িক ব্যবহার ও আন্তরিকতা দেখে বার বার মুগ্ধ হতে হয়। কাজের প্রতি তার এক নিষ্ঠতা ও দ্বায়িত্ববোধ দেখে মনে হয় তিনি একজন দক্ষ সৈনিক। তিনি সোনার বাংলা গড়ার একজন বীর সৈনিক।

মোঃ তাজুল ইসলাম নামে একজন কর্মবীরকে আমি দেখেছি। তিনি কি ভাবে একটি ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠান কে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপ দিয়েছেন। কখনো নিজের কথা না ভেবে সব সময় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন আর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেন। সব সময় চিন্তা করেন প্রতিষ্ঠানের উন্নতি।

প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে তিনি দিন-রাত কঠিন ও কঠোর পরিশ্রম করে চলছেন। কঠিন ও কঠোর পরিশ্রমের কারনে হয়তো ক্লান্তি তাকে ছুতেও ভয় পায়। আমি তাকে যত বার দেখেছি কখনো ক্লান্ত হতে দেখিনি। একজন কঠিন পরিশ্রমি মানুষ হিসাবে দেখেছি বার বার। তার এ নিরলস ও কঠিন পরিশ্রম দেশ এবং জাতির কল্যাণের জন্য। এ কথা বললে নিশ্চয়ই ভুল হবে না।

দেশের প্রতিকুল অবস্থা অর্থাৎ কারফিউ চলাকালীন সময়ে তিনি ঢাকার ভেতরে বিআরটিসির প্রতিটি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করেছেন। সেই সাথে ঢাকার বাইরের বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলোতে সার্বক্ষণিক খোজ খবর নিয়েছেন তিনি। দিয়েছেন জান, মাল রক্ষার জন্য সু-পরামর্শ। তার নির্দেশনায় বিআরটিসির প্রতিটি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলিতে রাত জেগে পাহারা দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রতিটি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় বহু গুন ক্ষয়ক্ষতি ও নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বিআরটিসির বাস, ট্রাক, গাড়ীসহ বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলি। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের জন্য এবং তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারনে।

মোঃ তাজুল ইসলামের বিচক্ষণতা, বুদ্ধি, পরামর্শ এবং দুঃসাহসিকতার কারনে দেশের প্রতিকুল অবস্থায়ও তেমন কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি বিআরটিসির। তার বিচক্ষণতায় নাশকতা থেকে রক্ষা পেয়েছে বিআরটিসি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলো। তার কারনেই বড় ধরনের নাশকতা থেকে রক্ষা পেয়েছে সরকারের হাজার কোটি টাকার সম্পদ। রক্ষা পেয়েছে ভঙ্গুরদশা থেকে উঠে আসা উন্নয়নের রোল মডেলে চলা একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান।

মোঃ তাজুল ইসলামের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডঃ  বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়সহ ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিজস্ব আয় থেকে প্রতি মাসের ১ তারিখে পরিশোধ করা। * বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়সহ প্রতিটি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দৃষ্টি নন্দন গেট নির্মাণ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, অপেক্ষাগার সহ সকল স্থাপনা সমুহ দৃষ্টি নন্দন করা।* বিআরটিসির কয়েকটি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অফিস ও প্রশিক্ষণের জন্য নতুন ক্লাসরুম তৈরী করা। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলিতে প্রজেক্টর স্থাপন করা। * বিআরটিসির আর্টিকুলেটেড বাস মেরামত ও উন্নয়ন করা। সেই সাথে ৬টি আর্টিকুলেটেড বাস থেকে যা এখন ২৭টিতে উন্নীত হয়েছে। * চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে টাইগার পাস ও চট্টগ্রাম শহরে ও কক্সবাজারে পর্যটন বাস সেবা চালু। * চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিভিন্ন রুটে স্কুল ও মহিলা বাস চালু করা। * পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে ঢাকার সাথে দক্ষিনবঙ্গের যোগাযোগ সুবিধার্থে ২১ জেলার ২৩টি রুটে ৬০টি বাস সার্ভিস চালু করাসহ নানা মুখি পদক্ষেপ গ্রহন করা।

একজন দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা তাজুল ইসলামঃ মোঃ তাজুল ইসলাম একজন দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসাবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। সকাল ৯ টা বাজার সাথে সাথে তিনি তার কর্মস্থলে চলে আসেন। সারা দিন কর্মব্যস্ত থেকেও সময় দেন সাধারণ মানুষকে। সাক্ষাত দেন দর্শনার্থীদেরকে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে শোনেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুঃখ দুর্দশার গল্প। যথাসাধ্য চেষ্টা করেন তাদের সে দুঃখ, দুর্দশা লাঘবের। মানব দরদি ও মানবতার একজন মুর্ত প্রতিক হিসাবে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মনের মনি কোঠায় ইতিমধ্যে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

মিডিয়া প্রেমী তাজুল ইসলামঃ একজন মিডিয়া প্রেমী ও সাংবাদিক বান্ধব হিসাবে সুখ্যাতি রয়েছে মোঃ তাজুল ইসলামের। গণমাধ্যম কর্মী ও সাংবাদিকদেরকে সব সময় আপনজন হিসাবে গ্রহন করে থাকেন তিনি। মোঃ তাজুল ইসলাম বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসাবে যোগদান করার পর থেকে অবাধ তথ্য প্রদান নিশ্চিত করেছেন। বর্তমান সরকার ও বিআরটিসির উন্নয়ন ধারাকে অব্যহত রাখতে এবং মিডিয়ায় তা তুলে ধরতে তিনি মাঝে মাঝে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে থাকেন।

এ ছাড়াও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও চা চক্রের আয়োজন করে থাকেন তিনি। এক কথায় বলতে গেলে মিডিয়া বান্ধব একজন দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসাবে তার ভুমিকা আসলেই প্রশংসনীয়। মিডিয়ার প্রতি তার দ্বায়িত্ববোধ আসলেই প্রশংসার দাবী রাখে।

সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তি হয়েও অতি সাধারন জীবনযাপন করেন তিনি। একজন সাদা মনের মানুষ হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি ও সুখ্যাতি রয়েছে তার। চাকরি জীবনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুর্দান্ত সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। একজন সৎ ও সাহসি কর্মকর্তা হিসাবে সারা দেশে সুখ্যাতি রয়েছে তার। সৎ কর্মকর্তা হয়তো অনেকেই আছেন। কিন্তু সারা দেশে মোঃ তাজুল ইসলামের মত সৎ, যোগ্য ও সাহসী কর্মকর্তা ক’জন আছেন তা হয়তো বলার অপেক্ষা রাখে না। মোঃ তাজুল ইসলামের দক্ষতার কারনেই আজ স্বর্নযুগ পার করছে বিআরটিসি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের মেধা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, আন্তরিকতা এবং সাহসিকতায় বিআরটিসি দিন দিন আরো সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহন করবে এমনটাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মোঃ তাজুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতিতে এনেছেন জিরো টলারেন্সে। সম্পুর্ন দুর্নীতি মুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলেছেন বিআরটিসিকে। দুর্নীতি মুক্ত হয়ে স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতার মধ্যে চলছে বর্তমান বিআরটিসি।

মোঃ তাজুল ইসলাম সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব হিসাবে বিআরটিসিতে চেয়ারম্যান হিসাবে যোগদান করেছিলেন। তার ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সরকার তাকে গ্রেড-১ এ পদোন্নতি দিয়েছেন। দেশ ও জাতির জন্য ভাল কাজ করলে পুরস্কৃত হওয়া যায় মোঃ তাজুল ইসলাম তার জলন্ত প্রমান।

মোঃ তাজুল ইসলামের হাত ধরে আরো বহু দুর এগিয়ে যাবে বিআরটিসি এমন টাই মনে প্রাণে ধারন করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিআরটিসিতে মোঃ তাজুল ইসলাম এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন যুগ যুগ ধরে এটাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন বিআরটিসির সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

(লেখক একজন সিনিয়র সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক সংগঠক।)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 agamirbangladesh24.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin